Home কৃষি তথ্য শসা চাষাবাদ পদ্ধতি

শসা চাষাবাদ পদ্ধতি

by green1

মাটি নির্বাচন:-

হাইব্রিড শসা চাষের জন্য দোআঁশ মাটি উপযুক্ত । পর্যাপ্ত রোদ পায় এবং বৃষ্টি হলে পানি জমেনা এমন উঁচু জমি শসা চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে ।

সময় :-

শসা প্রায় সারা বছর চাষ করা যায়।

জাত সিলেকশন:-

গ্রীন ওয়ান সীডের গ্রীন কিং জাতের শসা প্রায় সারা বছর এবং হিমালয় জাতের শসা শীতকালে চাষ করতে পারেন।

জমি প্রস্তুত:-

কমপক্ষে ৫-৬ টি চাষ দিতে হবে। মাটিতে অম্লত্ব/ক্ষারত্ব ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনমত ডলো চুন ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে জমিতে ১ চাষ দিয়ে শতাংশ প্রতি ৩ কেজি হারে দিয়ে দিবেন। ১২ দিন পর ফাইনাল চাষের সময় অন্যান্য সকল সার দিয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ জমির জন্য দিতে হবে নিম্নের সারগুলো:-

  • ১/ টিএসপি= ৫০-৬০ কেজি।
  • ২/ এমওপি = ৪০-৪৫ কেজি।
  • ৩/ জিপসাম= ১০ কেজি।
  • ৪/ ইউরিয়া = ১৫-২০ কেজি।
  • ৫/ বোরণ=২ কেজি।
  • ৬/ দস্তা/জিংক= ১.৫ কেজি।( এটি আলাদাভাবে দিতে হবে)
  • ৭/ ফুরাডান= ৩ কেজি।
  • ৮/ ভার্মি কম্পোস্ট = ২৫০-৩০০ কেজি।
  • ৯/ ম্যাগনেসিয়াম=৫ কেজি।
  • ১০/ সালফার ২ কেজি।
  • ১১/ ওয়ান ডার্মা (ট্রাইকোডার্মা)=৩ কেজি।

( সকল সার দেওয়ার পর বেড করে ১০- ১৫ দিন রেখে দিতে হবে। এর পর চারা বা বীজ রোপন করতে পারেন। চারা রোপন করলে ভালো।)

আধুনিক চাষের ক্ষেত্রে আপনাকে ৩.৫ ফিট চওড়া বেড় এবং কমপক্ষে ১.৫ ফিট নালা/ড্রেন করতে হবে। অবশ্যই মালচিং পেপার ব্যবহার করতে হবে। প্রতি বেডে ২ লাইন চারা রোপণ করতে হবে। চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ১৬-১৮ ইঞ্চি। লাইন থেকে লাইন ২৬-২৮ ইঞ্চি। সিঙ্গেল লাইনের ক্ষেত্রে দেড় ফুট নালা আর ২ ফুটের বেড করবেন। চারা ১৪-১৫ ইঞ্চি পরপর লাগাবেন।

মাচা তৈরি:-

A – প্যাটানের মাচা তেরি করে রেডিমেড মাচার নেট ব্যাবহার করতে হবে।

পোকার আক্রমণ দমন :-

১/ সাদা মাছি দমনের জন্য মভেন্টো প্রতি লিটারে ১ মিলি হারে ৫ দিন পরপর দিতে হবে।

২/ লেদা পোকা দমনের জন্য এমাবেকটিন বেনজয়েট গ্রুপের ওয়ান্ডার ১৬ লিটারে ১ পেকেট দিয়ে স্প্রে করবেন।

৩/ রেড পামকিন বিটল পোকা দমনের জন্য সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১লিটারে ১মিলি হারে স্প্রে করতে হবে।

রোগ দমন :-

১/ পাউডারি মিলডিউ, ডাওনি মিলডিউ দমনের জন্য ইউনিসাফ/এন্ট্রাকল ২ গ্রাম ১ লিটারে দিয়ে স্প্রে করবেন।

২/ ইউলো মোজাইক ভাইরাস দমনের জন্য সাদা মাছি দমন করলে হবে।এক্ষেত্রে মভেন্টো এনার্জি দিবেন।

৩/ পাতার পোড়া দাগ দূর করার জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রুপের চ্যাম্পিয়ান/অক্সিভেট এগুলো ১ লিটারে ২ গ্রাম হারে স্প্রে করবেন।

এগুলো সব ৪-৫ দিন পরপর স্প্রে করবেন।

২০-২১ দিন পর পর জিংক,বোরণ স্প্রে করবেন। ফুল চলে আসলে এগুলো ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার ব্যবহার করবেন। সর্বশেষ ফুল চলে এলে ফ্লোরা/মিরাকুলান /পিজিয়ার প্রতি লিটারে ১ মিলি হারে স্প্রে করবেন। এতে করে ফলন ২-৩ গুণ বাড়বে,, ইনশাআল্লাহ।

You may also like

Leave a Comment